শনিবার (১৫ জুলাই) সুইডেনে পবিত্র কোরাআন অবমাননার বিরুদ্ধে জাতিসংঘ প্রস্তাবের বিপক্ষে আমেরিকা ও ব্রিটেনের ভোট দেওয়ার প্রতিবাদে আল ইসলামি পার্টির প্রেসিডেন্ট এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফেসবুক পোস্টে মোঃ সায়েদ আল ইসলাম আরও বলেন, সুইডেনের উগ্র ডানপন্থী দলের বিতর্কিত নেতা রাসমুস পালুদান গত ২১ জানুয়ারি স্টকহোমে তুর্কী দূতাবাসের সামনে পবিত্র কোরআন শরীফে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়। সে সময়ে তার দলের প্রায় ১০০ জন সমর্থক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে সুরক্ষা দেয়। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, মহাগ্রন্থ আল কোরআন আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রেরিত শেষ আসমানি গ্রন্থ। মানুষকে মুক্তির পথ দেখাতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ওপর এ গ্রন্থ নাজিল হয়। এ গ্রন্থ বিশ্ব মুসলিমের কাছে সবচেয়ে পবিত্র গ্রন্থ। কোটি কোটি হাফেজে এ গ্রন্থ মুখস্ত করে তাদের হৃদয়ে ধারণ করেন। মুসলমানদের দৈনন্দিন কার্যক্রম এ পবিত্র গ্রন্থের বিধান মেনেই পরিচালিত হয়। অথচ এক বর্ণবাদী ও ইসলাম বিদ্বেষী ব্যক্তিকে পবিত্র কোরআন পোড়ানো অনুমতি দিয়ে সুইডেন সরকার চরম গর্হিত কাজ করেছে। মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার আড়ালে এমন ইসলাম বিরোধী কাজের অনুমতি কোনোমতেই মেনে নেয়া যায় না। এটি মুসলমানদের নিশানা ও পবিত্র মূল্যবোধের চরম অবমাননা। অবিলম্বে সুইডেন সরকারকে মুসলমানদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং বিতর্কিত ব্যক্তিকে শাস্তি দিতে হবে। নতুবা মুসলিম বিশ্ব সুইডেনকে চিরতরে বয়কট করবে।
তিনি আরো বলেন, সুইডেন পবিত্র কোরআন পুড়িয়ে মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে চরম আঘাত হানা হয়েছে। সইডেন সরকার ইসলাম ও পবিত্র কোরআনের দুশমনদের প্রশয় দিয়ে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে। তিনি ইসলাম বিদ্বেষী সুইডেন সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য মুসলিম দেশগুলোর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
কিছুক্ষণ পর আল ইসলামি পার্টির চেয়ারম্যান(আতকিয়া আদিবা) ও ভাইস প্রেসিডেন্ট(ইলহাম) এক পোষ্টে সুইডেনে কোরআন অপমান করার তীব্র নিন্দা জানান। সেই সাথে আল ইসলামি পার্টির অন্যান্য সদস্য এবং মেম্বার রাও এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং জানাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ৯:৩৮ এএম, ২৩/৭/২০২৩
.jpeg)